প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

দেওয়ান মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়, এই বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় স্থানীয় সমাজসেবী প্রয়াত **দেওয়ান মফিজ উদ্দিন সাহেব**-এর সম্মানে । গোলযোগপূর্ণ প্রাথমিক অবস্থান থেকে বিদ্যালয়টি দ্রুতই স্থানীয় শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এবং ১৯৭৫ সালের ৬ জুন মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে, যা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক । MPO (মাসিক বেতন আদায়) যুদ্ধোপযোগে বিদ্যালয়টি সরকারের শিক্ষানীতির আওতায় আসে ও শিক্ষকবেতন, প্রশাসনিক সহায়তা সরকারি তহবিল থেকে আসে । গঠনকালীন শুরুর পর এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “Combined” বা যৌথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে দিনে এক শিফটে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আহ্বায়কতা অর্জন করে । মূলত গ্রামের দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়নধারা অবলম্বন করে, বিদ্যালয়টি স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা সরবরাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে এবং এখনো তা অব্যাহত রেখেছে ।

মিশন

মিশন

দেওয়ান মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মিশন হলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, নৈতিক ও মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী তার পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশের সুযোগ পায়। এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি, সৃজনশীলতা, আত্মবিশ্বাস এবং মানবিক মূল্যবোধ জাগাতে সচেষ্ট। পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে গিয়ে তারা সামাজিক দায়িত্ব, পরিবেশ-সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারার মতো ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে তোলে। বিদ্যালয়টি মনে করে, শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু ভালো রেজাল্ট নয়; বরং নৈতিক চরিত্র গঠন, চিন্তাশীলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং সহযোগিতার মানসিকতা গড়ে তোলা। শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে এক পরিবেশ তৈরি করা হয় যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী আত্মনির্ভরশীল, সচেতন এবং সমাজবান্ধব একজন নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। তারা নিয়মিত মূল্যায়ন, কৃতিত্বের স্বীকৃতি এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিদ্যালয়টি বিশ্বাস করে—একজন শিক্ষার্থী যদি ভালো মানুষ হয়, তবে সে কখনোই সমাজের জন্য বোঝা নয়, বরং আশীর্বাদ হয়ে উঠবে।

ভিশন

ভিশন

এই বিদ্যালয়ের ভিশন হলো এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা, যা শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চলার শক্তি দেয় এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। তারা চায় একটি মানবিক, নৈতিক এবং প্রযুক্তি-সমন্বিত শিক্ষা-সংস্কৃতি গড়ে তুলতে, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজেকে খুঁজে পাবে এবং বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। বিদ্যালয়টি ভবিষ্যতে এমন একটি শিক্ষাক্ষেত্র গড়ে তুলতে চায়, যেখানে শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, বরং সংস্কৃতি, নেতৃত্ব, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশ সচেতনতাও শিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে। তাদের লক্ষ্য এমন একটি আলোকিত সমাজ গঠন করা, যেখানে শিক্ষা হবে সবার জন্য সমানভাবে প্রাপ্য এবং ব্যবহারিক জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই ভিশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি আশা করে, তারা এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবে যারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, প্রযুক্তি-সচেতন, সৃজনশীল, এবং মানবিক—যারা শুধু ভালো কর্মী নয়, বরং ভালো মানুষ ও ভবিষ্যতের দায়িত্বশীল নাগরিক হবে।